গাইবান্ধার সাবেক ছয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের ৮৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সদস্যসচিব বায়োজিদ বোস্তামি জীম ঘটনার ১০ মাস পর মামলাটি করেন বলে সদর থানার ওসি শাহীনুর ইসলাম তালুকদার জানান।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাহিদ হাসান নিগার সুলতানা, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সরোয়ার কবির ও সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন।
মামলার এজাহারে বাদী বলেছেন, গাইবান্ধা সরকারি কলেজ মাঠে ছাত্র-জনতার কর্মসূচি চলাকালে ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই দুপুরে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আসিফ সরকারের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে লোহার রড, হকিস্টিক ও বাঁশের লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এতে আরও বলা হয়, একই বছরের ৪ অগাস্ট দুপুর ২টার দিকে বায়োজিদকে গাইবান্ধা ডিসি অফিসের সামনে থেকে পুনরায় ধরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গেইটের সামনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। পরে হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে স্থান ত্যাগ করে। এ ছাড়া এ সময় তার দিকে তাক করে রাবার বুলেটও ছোড়া হয়।
মামলার বাদী বায়োজিদ বোস্তামি জীম বলেন, আসামিরা তার উপর হামলা-অপরহরণ ও হত্যার চেষ্টাসহ বিভিন্ন ধরনের তাণ্ডব চালিয়েছে। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধও হয়েছেন।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহীনুর ইসলাম তালুকদার জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply