মিরপুর থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি
গত ৯ই মে ২০২৫ ইং দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে। হত্যাকারী আপন বোনের,ছেলে বয়স ১৬ বছর । হত্যাকারী তার খালার বাসায় বেড়াতে আসো, আসামাত্র তার খালা লেবুর শরবত খেতে দেয়। ছেলেটি লেবুর শরবত খাওয়া অবস্থায় বিছানায় একটি মানিব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে। ওই মানিবাগ থেকে তিন হাজার টাকা সে নিয়ে গোপনে রেখে দেয়। পরক্ষণে তার খেলা দেখতে পেলে তাকে বলে তোমার মাকে বলে দেব কেন তুমি এই তিন হাজার টাকা চুরি করলে-তোমার লাগলে আমাকে বলতে পারতে। ছেলেটি তারপরও বলছিল খালা আমি এটাকে দিয়ে সাইকেল কিনব। একথা শোনার পর তার খালাকে সে বলে বলে মাকে বলে দিলে কিন্তু তোমারে মেরে ফেলবো। যেমনি কথা তেমনি কাজ -এক পর্যায়ে লেবু কাটা চাকু দিয়ে তার বড় খালাকে আঘাত করতে থাকে। তার খালার চিৎকার শুনতে পেলে একই ফ্লাটে পাশের রুমে ছোট খালা চলে আসে। ছোট খালা বাঁধা দিতে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি ছুরিঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে বড় খালা মাটিতে লুটিয়ে পড়ল ছোট খালাও একই অবস্থা। পরে পাটা পুতা দিয়ে মাথায় বাড়ি দিয়ে পূর্ণ মৃত্যু নিশ্চিত করে। তার ব্যাগের ভিতরে প্যান্ট শার্ট ছিল পরবর্তীতে ওয়াশরুমে ফ্রেশ হয়ে রক্তমাখা পোশাক চেঞ্জ করে। সেগুলো ব্যাগে ঢুকিয়ে ফ্লাটের দরজায় তালা মেরে বেরিয়ে আসে।
তার বাসা ছিল যাত্রাবাড়ী শনির আখড়ায়। সেখানে বাজারে এক মসজিদের পাশে শোয়ারেন্স লাইনের পাশে ব্যাগটি ফেলে দেয় এবং রক্তমাখা জুতাও ফেলে দেয়। পরক্ষণে সিলেটে পালিয়ে যায়। সিলেট থেকে ডিবি পুলিশ ফোন নাম্বার ট্যাগ করে তাকে ধরে। ধরা পড়লে তার মুখ থেকে বিস্তারিত জবানবন্দীতে এসব কথা উঠে আসে। হত্যাকৃত চাকু, রক্তমাখা পোশাক ও ব্যাগ, জুতা পুলিশ উদ্ধার করে। তার খালাতো বোন মিষ্টি মিরপুর শেওড়াপাড়া পল্লবী থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করে তার ফলশ্রুতিতে তাকে ডিবি পুলিশ এবং সিলেট থানা পুলিশের সহযোগিতা ধরতে সক্ষম হয়। বর্তমান উক্ত আসামি জেল হাজতে আছে। মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো জানা যায়নি।
Leave a Reply