উত্তর বাড্ডার রোকেয়া টিম্বার ট্রেডার্স এন্ড সন্স এর সহকারী ম্যানেজার সাকিব গুম
ঢাকা প্রতিনিধি,দৈনিক বাংলাদেশ অনুসন্ধান।
কাজী নাজমুস সাকিব ২৩, পিতাঃকাজী মনিরুজ্জান গ্রামঃ ১০ নং সারেং কাটি থানা-নেছারাবাদ, জেলাঃ পিরোজপুর। সে গত এক বছর ধরে উত্তর বাড্ডা রোকেয়া টিম্বার ট্রেডাস এন্ড সন্স স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জাকির হোসেন সিকদার এর অধীনে এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করে আসছে। ১৬ ই জুন সন্ধ্যা ৬:৪৫ মিনিটে ঘটিকা থেকে উক্ত স'মিলের স্টাফ থাকার বাসা থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের লোকজন তাকে ফোনে পাচ্ছিল না। প্রতিদিন সাকিব তার মায়ের সঙ্গে ছুটি শেষে কথা বলে কিন্তু সেদিন সে আর সন্ধ্যার পর থেকে কোন কথা বলেনি।ফোন দেয়ার পর কোন অনবরত বেজেছিল কিন্তু রেসপন্স হচ্ছিল না। এমতবস্থায় তার বাড়ির লোকজন মালিক জাকির হোসেন কে ফোন দেয় তিনি বলেন ব্যস্ত আছে সকালে আপনাদের সঙ্গে কথা বলবে।রাত ১১:৪৫ মিনিটে জাকির হোসেন সিকদার এর মেয়ে জামাই মোঃ ফয়সাল সিকদার রাসেল উক্ত বাসায় প্রবেশ করে অতঃপর ১৫ মিনিট পর বের হয়ে যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বলে আমি খুঁজতে এসেছিলাম।
এদিকে তার বাড়ি থেকে ঢাকার আছে এমন সকল আত্মীয়স্বজনদেরকে ফোন দিলে তারা সকলেই বলে না আমাদের বাসায় আসেনি। সাকিবের আত্মীয়-স্বজন ও চাচা খোঁজাখুঁজি করার পর না পেলে বাড্ডা থানায় চাচা কাজী কামরুল অভিযোগ/জিডি করেন থানা থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এস আই মোঃ বিলাল তদন্ত সাপেক্ষে এবং আমাদের দৈনিক বাংলাদেশ অনুসন্ধানের ক্রাইম প্রতিনিধি সার্বক্ষণিক এ ব্যাপারটি অবজারভেশনে তথ্য উঠে আসে যে, উক্ত ক্রাইমে জাকির হোসেন সিকদার, তার মেয়ের জামাই মোঃ ফয়সাল শিকদার রাসেল, স'মিলের ম্যানেজার মোঃ হাসান এই গুম ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত। সাকিবের রুমের মধ্যে ল্যাপটপ এবং তার ব্যবহৃত ফোন থাকতে দেখা যায় কিন্তু সাকিব নেই। মালিক জাকির হোসেন কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলে দিন তিনটার সময় আমার সঙ্গে কথা হয়েছে এরপর আর কোন কথা হয়নি। গুমের বিষয়টি বাড্ডা থানার তদন্ত প্রক্রিয়াধীন/ অব্যাহত রয়েছে। তবে সাকিবকে এখনো পাওয়া যায়নি এবং জীবিত পাওয়া যাবে কিনা বারংবার তার পরিবারের সদস্যদের মুখ থেকে উচ্চারিত হচ্ছে এবং আমাদের দৈনিক বাংলাদেশ অনুসন্ধান পত্রিকার অনুসন্ধানী রিপোর্টে তা-ই উঠে আসছে।
এরকম হাজারো সাকিবের মত সন্তান গ্রাম থেকে রাজধানী ঢাকায় চাকরির উদ্দেশ্যে/কাজের সন্ধানে আসে আর নিখোঁজ গুম হয়ে সোনালী জীবন পাতা থেকে হারিয়ে যায়। তাই এরকম ক্রাইম ভিকটিমদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং আইন প্রয়োগের মাধ্যমে প্র মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন সাকিবের পরিবার এবং সাধারণ জনগণ।