পাঁচ দিনের সফরে যুক্তরাজ্যের পথে ইউনূস
নিউজ ডেস্ক, দৈনিক বাংলাদেশ অনুসন্ধান।
পাঁচ দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের পথে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সরকারপ্রধান ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছে তার দপ্তর।
আগামী ১৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
সরকারপ্রধানের সফরসূচি গত ৪ জুন সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক।
তিনি বলেন, সফরকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে প্রধান উপদেষ্টার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি, কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারের নীতি নির্ধারণী শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গেও প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বাইরে প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১১ জুন লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে একটি বিশেষ আলোচনায় অংশ নেবেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে তার অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন।
রুহুল আলম বলেন, মানুষ, প্রকৃতি ও পরিবেশের মধ্যে সঙ্গতিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা, সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনাচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা এবং একটি শান্তিপূর্ণ, সৌহার্দ্যময় ও টেকসই পৃথিবী বিনির্মাণের চলমান প্রচেষ্টায় অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস এ বছরের সম্মানজনক ‘কিংস চার্লস থার্ড হারমোনি অ্যাওয়ার্ডের’ জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে মনোনীত করেছেন।
“আগামী ১২ জুন লন্ডনের সেন্ট জেমস’স প্যালেসে এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।”
দ্য কিংস ফাউন্ডেশনের দেওয়া এই পুরস্কার ২০২৪ সালে পেয়েছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দ্য কিংস ফাউন্ডেশন ৩৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ১১ জুন সন্ধ্যায় একটি বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করেছে। প্রধান উপদেষ্টা এই নৈশভোজেও যোগ দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
সফরকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কমনওয়েলথ এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল সংস্থার দুই মহাসচিবের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, মুহাম্মদ ইউনূসের এই সফরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সঙ্গে যাচ্ছেন।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর বলছে, এ সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এর পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ।