সম্পাদকীয়
ঈদুল আযহা: আত্মত্যাগ না হলে কোন বিপ্লব টেকে না!
আজ ঈদুল আযহা—কোরবানির ঈদ। অনেকে ভাবেন, এটা কেবল গরু বা ছাগল কোরবানির দিন। তারা ভুল। ঈদুল আযহার আসল শিক্ষা হচ্ছে—নিজের প্রিয় জিনিসকে ত্যাগ করার সাহস, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার দৃঢ় সংকল্প এবং ন্যায়ের পক্ষে নিজেকে সঁপে দেওয়ার চূড়ান্ত শপথ।
হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন নিজের সন্তানকে কোরবানি দিতে উদ্যত হয়েছিলেন, তা কোনো পশু কোরবানির গল্প ছিল না—তা ছিল এক মহা পরীক্ষার নাম, যেখানে বিশ্বাস, সাহস ও আত্মনিবেদন এক হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল।
আজ আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি? চারপাশে পুঁজির দানব, দুর্নীতির সাপ, ক্ষমতার ঘুণ, আর নির্লজ্জ বৈষম্যের শিকল। কেবল পশু জবাই করে কি ঈদ হয়? ঈদ হয় যখন সমাজের অন্যায়, অবিচার, লুটপাট—এসবের গলা কাটা যায় ন্যায়, সাহস আর বিবেকের তলোয়ার দিয়ে।
এই ঈদে যদি কেউ কিছু কোরবানি দিতে চায়, তবে প্রথম কোরবানি দাও নিজের ভোগবিলাসের, লোভের, নির্লজ্জ নীরবতার! কোরবানি দাও ভয় আর ভণ্ডামির! কোরবানি দাও আত্মস্বার্থের! কারণ আত্মত্যাগ না হলে কোনো বিপ্লব টেকে না, কোনো সমাজ বদলায় না, কোনো ঈদ পূর্ণ হয় না।
আজকের ঈদ হোক এক গর্জে ওঠা শপথ—
আমরা মিথ্যার বিরুদ্ধে, আমরা লুটেরাদের বিরুদ্ধে, আমরা শোষণ আর অনাচারের বিরুদ্ধে!
আমরা সত্য, ন্যায়, মানবতা আর মানুষের পক্ষে!
এই হোক কোরবানির চূড়ান্ত অর্থ!
ঈদ মোবারক, কিন্তু ঘুমিও না—জেগে ওঠো। কারণ সত্যিকারের ঈদের জন্য দরকার এক নতুন বিপ্লব।
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ রাজিউল ইসলাম (রাজ)
দৈনিক বাংলাদেশ অনুসন্ধান
সত্যের পক্ষে, সাহসের সাথে
সত্যের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে