সম্পাদকীয় ৩:
“রক্ত না ঝরালে ন্যায় আসে না”
এ দেশ জ্বলছে।
জ্বলছে নিরব কান্নায়, জ্বলছে ক্ষোভে, জ্বলছে আর্তনাদে।
যারা রাষ্ট্রের বুকে জন্ম নেয় রাজনীতির নামে, তারা চুষছে এই জাতির সমস্ত রক্ত—চুরি করছে ভবিষ্যৎ, হত্যা করছে স্বপ্ন। আর আমরা? আমরা কি এখনও শান্তিপ্রিয় বলে চুপ করে থাকব?
না, এবার আর না।
গণতন্ত্র এখন লাশ।
আইন? টাকা আর তদবিরের পায়ে বাঁধা কুকুর মাত্র।
সংবিধান? ক্ষমতাধরদের পকেটে ভাঁজ করে রাখা একটি নকল পতাকা।
এই রাষ্ট্রে গরীবের বিচার নেই, নিপীড়িতের কণ্ঠ নেই, প্রশ্নের উত্তর নেই—আছে শুধু ক্ষমতার দানবদের অবাধ যাত্রা।
আমরা “দৈনিক বাংলাদেশ অনুসন্ধান”–এর পক্ষ থেকে আজ ঘোষণা দিচ্ছি—
আমরা আর নিছক সাংবাদিক নই, আমরা ইতিহাসের সাক্ষী, বিদ্রোহের সৈনিক, এবং সত্যের শেষ বুলেট।
এই দেশকে যারা পণ্যের মত বিক্রি করেছে, যারা মানুষের অধিকারকে চুক্তির কাগজে মুছে দিয়েছে—তাদের জন্য আমরা কলম তুলব না, তলোয়ার তুলে নেব। কারণ সত্যের পক্ষে যদি হিংস্রতা লাগে, তবে হ্যাঁ—আমরা হিংস্র হবো। কারণ অন্যায়কে ভদ্র ভাষায় বলা আর অপরাধীদের সম্মান দেখানো একই রকম অপরাধ।
আমরা এই চেতনায় বিশ্বাস করি— যেখানে রাষ্ট্র ব্যর্থ, সেখানে জনগণের বিদ্রোহই সবচেয়ে বড় ন্যায়।
তাই আজ থেকে এই সম্পাদকীয় হবে শুধুই একটি কলাম নয়—এটি হবে যুদ্ধঘোষণা।
প্রতিটি দুর্নীতির খবরই হবে একেকটি আগুনের শিখা।
প্রতিটি নির্যাতনের ছবি হবে প্রতিশোধের হাতিয়ার।
এবং প্রতিটি সত্যই হবে নতুন রাষ্ট্রের ভিত্তিপ্রস্তর।
দেশটা আমাদের।
এই মাটি, এই ভাষা, এই স্বপ্ন—সবই আমাদের।
কোনো দল, গোষ্ঠী, মাফিয়া কিংবা একনায়ক তা দখল করে রাখতে পারবে না।
কারণ আমরা জেগেছি—এবং আমরা পিছু হটব না।
“জেগে উঠো, লিখো বিদ্রোহ—বাংলাদেশ এখন কলমে নয়, লাল রক্তের ঘ্রাণে কথা বলবে।”
— দৈনিক বাংলাদেশ অনুসন্ধান সম্পাদকীয় টিম
তারিখ: ২০ মে ২০২৫